স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের হাতে এক কোটির ওপরে ভ্যাকসিন আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব মানুষকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
সেজন্যই আমরা ২১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনে রেখেছি। সেখান থেকে এ মাসে অন্তত তিন কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন আসবে। তিনি বলেন, আগামী মাসেও একই হারে আসার কথা। ইতোমধ্যে ৭ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই অন্তত ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে। সেটি করা গেলে করোনায় মৃত্যুর হার শূন্যের কোঠায় নামানো সম্ভব হবে। রবিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে করোনা মহামারি চলাকালেও কোথাও ওষুধের ঘাটতি দেখা দেয়নি। গ্রাম পর্যায়েও এই ওষুধ ছিল পর্যাপ্ত। বাংলাদেশের ওষুধ দেশীয় চাহিদার ৯৮ ভাগ পূরণ করেও বিদেশে রফতানি করে প্রচুর আয় করছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ এখন বিশ্বের ১৪৫টি দেশে রফতানি করা হচ্ছে। এই ওষুধ বিদেশে রফতানি করে গত ছয় বছরে ৫ বিলিয়ন আয় থেকে এখন ৩১ বিলিয়ন রফতানি আয় করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি, দেশের প্রায় ৯৮ ভাগ মানুষের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে দেশের ওষুধ দিয়েই। গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির পর দেশের অন্যতম একটি বড় একটি আয়ের উৎস হতে যাচ্ছে ওষুধ কোম্পানি। দেশে যেন কোনও ভেজাল ওষুধ না থাকে এবং দাম আরও সাশ্রয়ী হয় সেজন্য নতুন ওষুধ নীতিমালা করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নতুন প্রতিষ্ঠিত ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন ও প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। এ সময় সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত, কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।